শনিবার, ১৬ নভেম্বর ২০২৪, ১০:৫১ অপরাহ্ন
আশুলিয়া থকে ফিরে লোকমান আলী, কালের খবর : আশুলিয়াৱ আউকপাড়ায় , ভাংচুর ও লুট পাট চাঁদাবাজ মাদক ব্যবসায়ী ও সন্ত্রাসীদের গডফাদার জাহাঙ্গীর আলম অপু সহ অপরাধীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার দাবি ভুক্তভোগীদের।আশুলিয়ার আউকপাড়ায় ভাঙচুর লুটপাট ছাড়াও চাঁদাবাজি মাদক সহ অপরাধ প্রবণতা বেড়েই চলছে প্রশাসনের পক্ষ থেকে অপরাধ দমনে তেমন কোন পদক্ষেপ দৃশ্যমান নেই।
আউকপাড়া মাজার নামে পরিচিত শহিদুল্লাহ দেওয়ান গংদের খামারবাড়ি সহ আশপাশ এলাকা অপরাধীদের আস্তানায় পরিণত হয়েছে।বিভিন্ন সময়ে ওই এলাকায় একটা না একটা অপরাধ চলতেই থাকে । তিন চার বছর আগে শ্রমিককে মেরে ফেলে বিভিন্ন ব্যক্তিকে মামলায় ফাঁসানোর চেষ্টা করা হয়েছিল। দুই বছর আগে ,বাউল শিল্পী অশ্রু বেগমকে আটকে রেখে নির্যাতনসহ হত্যার চেষ্টা করা হয়েছিল ।পুলিশের সহযোগিতায় উক্ত শিল্পী উদ্ধার হলেও এলাকার সাধারণ জনগণকে ফাঁসানোর চেষ্টা করা হয়েছিল ।আমাদের নিজস্ব প্রতিবেদক উক্ত এলাকায় খোঁজ নিয়ে জেনেছেন ঢাকাসহ বিভিন্ন এলাকা থেকে, বৈশ্বিক মহামারী কোভিট-19 এর সরকার ঘোষিত লকডাউন উপেক্ষা করে একদল সন্ত্রাসী উক্ত এলাকায় জড়ো হয় এবং এদের সাথে স্থানীয় কিছু অপরাধীদের নেতৃত্বে চাঁদাবাজি, ডাকাতি, মাদক ব্যবসাসহ বিভিন্ন অপরাধমূলক কার্যক্রম পরিচালিত হয়ে আসছে ডিবি পরিচয়ে ডাকাতি, অপহরণের বাঁদিদেরকে হুমকি-ধমকি দিয়ে মামলা তুলে নিতে বাধ্য করেছে ।গত এক মাস আগে মাদক সহ একটি চক্র গ্রেফতার হলেও উক্ত অপু নিজের জিম্মায় পুলিশের কাছ থেকে ছাড়িয়ে নিয়ে পুনরায় মাদক ব্যবসা করার সুযোগ সৃষ্টি করেছে, । ওরা এতটাই ভয়ঙ্কর যে, একের পর এক নির্যাতনের শিকার হলেও প্রশাসনকে অভিযোগ জানাতে ভয় পান ভুক্তভোগীরা। ভয়ে মুখ খুলেন না সাধারণ জনগণ। হাতেগোনা কয়েকজন যারা ওদের অপকর্মের প্রতিবাদ করেছেন, তাদের কেউ কেউ হামলার শিকার হয়েছেন।
স্থানীয়রা জানান,তাদের বিরুদ্ধে অসংখ্য অভিযোগ দিয়েও প্রশাসনের ভূমিকা দৃশ্যমান না হওয়ায় হতাশাগ্রস্ত এবং নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে অভিযোগ কারীরা।
খোজ নিয়ে জানা যায়, উক্ত সন্ত্রাসী চক্র এক বিধবা মহিলাকে ভয়-ভীতি দেখিয়ে , 15 হাজার টাকা চাঁদা নিয়ে যায়। পুলিশের এক কর্মকর্তা বাড়ির কাজ শুরু করলে তার কাছে চাঁদা দাবি করে। চাঁদার দাবিতে প্রবাসে কর্মরত, মাহবুবুর রহমানের বাড়িতে তালা দিয়ে তার ভাইয়ের কাছ থেকে চাঁদা আদায় করে।
উক্ত এলাকায় বসবাসকারী, বাংলাদেশ ক্রাইম জার্নালিস্ট ফাউন্ডেশন এর সাংগঠনিক সম্পাদক ও রুরাল জার্নালিস্ট ফাউন্ডেশন (আরজে এফ) এর ঢাকা জেলা সভাপতি, বিশিষ্ট সাংবাদিক ও মানবাধিকার কর্মী, ছিদ্দিকুর রহমান আজাদী এর কাছে সমস্যা সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এলাকায় তো প্রতিনিয়তই একটা না একটা ঘটনা ঘটতেই থাকে, আমি কোন কথা বললে, আমাকে বিভিন্ন মামলা দেওয়ার চেষ্টা করে, আমার বাড়িতে হামলা করে ।কে বা কারা করে, আমি জানিনা আমি নিজেই আতঙ্কে থাকি।
আশুলিয়া ইউনিয়ন জাতীয় শ্রমিক লীগের সভাপতি, মো: সাচ্চু মোল্লা ,20শে এপ্রিল রাত আনুমানিক দশটায় একদল সন্ত্রাসী এসে, জাতীয় শ্রমিক লীগের আশুলিয়া ইউনিয়ন কার্যালয় ভাঙচুর ও মালা মাল লুটকরে, এ ব্যাপারে আসলে থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। নাছিমা বেগম বলেন, আমাকে ওরা মেরেছে, জখম করেছে, থানায় অভিযোগ করার পরেও কোন ব্যবস্থা নেয়নি। আরো খোঁজ নিয়ে জানা যায়, উক্ত সন্ত্রাসী চক্র এক বিধবা মহিলাকে ভয়-ভীতি দেখিয়ে , 15 হাজার টাকা চাঁদা নিয়ে যায়। পুলিশের এক কর্মকর্তা বাড়ির কাজ শুরু করলে তার কাছে চাঁদা দাবি করে। চাঁদার দাবিতে প্রবাসে কর্মরত, মাহবুবুর রহমানের বাড়িতে তালা দিয়ে তার ভাইয়ের কাছ থেকে চাঁদা আদায় করে।
এছাড়াও মাজার গেটে, সাইনবোর্ড বিহীন একটি অফিসে টানানো জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান , মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও দুর্যোগ ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডাক্তার মোঃ এনামুর রহমানের ছবি ভাঙচুর করে মাটিতে ফেলে দেয়।এসমস্ত অপরাধীদের বিরুদ্ধে, এখনই কোন ব্যবস্থা না নিলে যেকোনো সময় ভয়ানক দুর্ঘটনা ঘটতে পারে বলে মনে করেন , এলাকার সাধারণ জনগণ।